সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধনী প্রস্তাব পাসের জন্য দ্রুত জাতীয় সংসদে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি আরো জানান, সংশোধনী প্রস্তাবটি নীতিগত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে অনতিবিলম্বে মহান জাতীয় সংসদে প্রেরণ করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ সকল তথ্য জানান।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধনীর প্রস্তাব তৈরি করা হয়। পরে সেই প্রস্তাব সরকারের নিকট পাঠানো হয়। এরপর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় প্রস্তাব অনুযায়ী আইনের খসড়াটি সংশোধন করা হয়। পরবর্তীতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আইনের খসড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষাপূর্বক মতামত প্রদান সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি যাচাই-বাছাই করে খসড়াটি চূড়ান্ত করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ওই আইনের মোটরযান বীমা সংশ্লিষ্ট ধারা লঙ্ঘনের দণ্ড সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।’
স্বতন্ত্র সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘দেশে প্রতি বছর প্রায় ৫ হাজারের অধিক বস্ত্র প্রযুক্তিবিদ ও দক্ষ কর্মী সৃষ্টি হচ্ছে এবং দেশে ও বিদেশে বস্ত্রখাতের কর্মে নিয়োজিত হচ্ছে। বস্ত্র অধিদপ্তর দেশের বস্ত্র শিল্প কারখানাগুলোর বস্ত্র প্রযুক্তিবিদের শূন্যতা পূরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বস্ত্র খাতে জনবল বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বস্ত্র অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রিত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বিএসসি, টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ও টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল) টেক্সটাইল কোর্স সম্পন্ন করার সুযোগ রয়েছে।
গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ বস্ত্রখাত থেকে অর্জিত হয়েছে।’
একই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পাট খাত দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে পাট খাত থেকে ৯১২ দশমিক ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হয়েছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই খাতে এক হাজার ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।’
বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৩:১১ ১৯ বার পঠিত