স্কট ম্যাকটোমিনের শেষ মুহূর্তের গোলে এ্যাস্টন ভিলাকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করে প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষ চারের আশা টিকিয়ে রেখেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য এরিক টেন হাগের দলের ভিলা পার্কে জয়ের প্রয়োজন ছিল। ইন-ফর্ম রাসমাস হোলান্ডের গোলে ইউনাইটেড ম্যাচের শুরুতে লিড নিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ডগলাস লুইজ ম্যাচে সমতা ফেরান। ম্যাচ শেষের চার মিনিট আগে বদলী বেঞ্চ থেকে উঠে এসে মিডফিল্ডার ম্যাকটোমিনে ইউনাইটেডকে জয় উপহার দিয়েছেন।
সব ধরনের প্রতিযোগিতায় টানা চার ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নেয়া ইউনাইটেড এখনো টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। কিন্তু পঞ্চম ও চতুর্থ স্থানে থাকা ভিলা ও টটেনহ্যামের থেকে যথাক্রমে পাঁচ ও ছয় পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে।
ইউনাইটেড বস এরিক টেন হাগ বলেছেন, ‘এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটি জয়। আমরা লক্ষ্যের আরো কাছাকাছি পৌঁছে গেছি, এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আজ সবাই খেলেছে আমি দারুন সন্তুষ্ট। ১-১’এ সমতা থাকার সময় আমরা লড়াই করেছি। ম্যাচটি বেশ উন্মুক্ত ছিল, যে কোন দলেরই সুযোগ ছিল। স্কট দারুন খেলেছে। আজকের দিনের অনেক খেলোয়াড়ের জন্য সে একটি উদাহরণ। সবসময়ই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিতে সে প্রস্তুত থাকে।’
ভিলা বস উনাই এমেরি বলেছেন, ‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে আজ আমরা দারুন খেলেছি। কিন্তু কিছু স্পষ্ট সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। এই ফলাফল মেনে নেয়া কঠিন। কিন্তু এটাই ফুটবল। আমাদের আরো ভাল খেলা উচিৎ ছিল।’
ইউনাইটেডের জন্য এখনো শীর্ষ চারে যাওয়া কঠিন। কিন্তু ভিলার বিপক্ষে অন্তত এই জয়ে কিছুটা হলেও নিজেদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। বিশেষ করে আক্রনমভাগ নিয়ে এই ম্যাচের পর ইউনাইটেড গর্ব করতেই পারে। ড্যানিশ স্ট্রাইকার হোলান্ড গত সাত ম্যাচে ষষ্ঠ গোল করেছেন। অথচ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ১৪ ম্যাচে তিনি গোলই করতে পারেননি। ২১ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার ১৯৯৮ সালে আর্সেনালের নিকোলাস আনেলকার পর দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে লিগের টানা পাঁচ ম্যাচে গোল করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। আটালান্টা থেকে প্রিমিয়ার লিগে আসার পর সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ২৯ ম্যাচে হোলান্ড এনিয়ে ১১ গোল করলেন।
গতকাল ১৭ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেসের ক্রস থেকে হোলান্ড ঠান্ডা মাথায় ভিলা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে ছয়গজ দুর থেকে পরাস্ত করেন। জন ম্যাকগিনের শক্তিশালী শট আন্দ্রে ওনানা রুখে দুর্দান্তভাবে রুখে দিলে সমতায় ফেরা হয়নি ভিলার। ম্যাকগিনের পাসে ওনানাকে একা পেয়েও ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ওলি ওয়াটকিন্স।
বিরতির পর ইউনাইটেডের লেফট-ব্যাক পজিশনে লুক শ’র পরিবর্তে মাঠে নামেন ভিক্টর লিন্ডেলফ। ম্যাটি ক্যাশের লো ক্রস থেকে ওয়াটকিন্সের পাস্টের কাছের থেকে শট রুখে দেন ওনানা। আলেহান্দ্রো গারাঞ্চোর কাটব্যাক থেকে ফার্নান্দেস সুযোগ নষ্ট করেন। ৬৭ মিনিটে এই সুযোগ সমতা ফেরায় ভিলা। ডগলাস লুইস দারুন এক গোলে ভিলাকে সমতায় ফেরান। ৮৬ মিনিটে দিয়েগো ডালটের ক্রসে ম্যাকটোমিনের শক্তিশালী হেড ধরার সাধ্য ছিলনা ম্যাকটোমিনের।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫২:০৮ ৩২ বার পঠিত