বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়াতে গাম্বিয়া আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
আজ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত গাম্বিয়ার হাইকমিশনার মুশতাহা জাওয়ারা -এর সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, গাম্বিয়ার হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠন করায় তাঁকে অভিন্দন জানিয়েছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে) ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অভ্ জাস্টিসে (আইসিজে) মামলা করে গাম্বিয়া। এজন্য জাম্বিয়ার সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। এছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশ ও জাম্বিয়া একসাথে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করছে। এ বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
হাইকমিশনার জানান, গাম্বিয়া আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ তাদের বন্ধুপ্রতীম দেশ। গাম্বিয়া ও বাংলাদেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক। সেজন্য গাম্বিয়া বাংলাদেশের পাট ও পাটজাত পণ্য ছাড়াও বিভিন্ন কৃষিপণ্য আমদানি, বাংলাদেশের টেক্সটাইল, শিক্ষা, ইসলামিক ও সাংস্কৃতিক শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন ঘটাতে আগ্রহী।
মন্ত্রী হাইকমিশনারকে জানান, বিশ্বে বাংলাদেশ ২য় পাট উৎপাদনকারী দেশ। বাংলাদেশে উন্নতমানের পাট উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশের উদ্যোক্তা পাট দিয়ে ২৮২ ধরনের বহুমুখী পাটজাত পণ্য উৎপাদন করছে, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি রাজনীতির নামে এখন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে একটি নামসর্বস্ব দলে পরিণত হয়েছে। তারা দেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করতে চায়। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা এখন বেপরোয়া কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। তিনি সহিংস কর্মকাণ্ডের পথ পরিহার করে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আশার আহ্বান জানান।
সম্প্রতি জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে অনুষ্ঠিত আম্বিয়ান্তে ফেয়ারে অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, তিনি মেলায় বাংলাদেশ, ভারতসহ অন্যান্য দেশের স্টল পরিদর্শন করেছেন। বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের পাটজাত পণ্যের ডিজাইন ও নিউ ট্রেন্ড দেখেছেন। তিনি খুবই আশ্চর্যজনকভাবে লক্ষ্য করেছেন আমাদের অনেক উদ্যোক্তা চমৎকার পরিবেশবান্ধব পণ্যসামগ্রী নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করেছে। এ মেলায় তারা অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:০৫:১৫ ৩১ বার পঠিত