রোববার ঘরের মাঠ পার্ক ডি প্রিন্সেসে দুই গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ব্রেস্টের সাথে ২-২ ব্যবধানে ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছে লিগ ওয়ানের শীর্ষে থাকা পিএসজি।
সেপ্টেম্বরের পর কাল প্রথমবারের মত লিগ ম্যাচ খেলতে মাঠে নেমেছিল মার্কো আসেনসিও। তার ভলিতেই প্রথমার্ধের শেষভাগে লিড পায় স্বাগতিকরা। বিরতির ঠিক আগে রানডাল কোলো মুয়ানি ব্যবধান দ্বিগুন করেন।
৫৫ মিনিটে ডানিলোর আত্মঘাতি গোলে ব্রেস্ট ম্যাচে ফিরে আসার ইঙ্গিত দেয়। ৮০ মিনিটে মাথিয়াস পেরেরা সফরকারীদের সমতায় ফেরায়। এর মাধ্যমে পিএসজির কাছে টানা ১৪ ম্যাচে পরাজয়ের ধারা থেকে বেরিয়ে এলো ব্রেস্ট। পিএসজির দুই গোলের যোগানদাতা ব্র্যাডলি বারকোলা স্টপেজ টাইমে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের কারনে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
ব্রেস্ট কোচ এরিক রয় বলেছেন, ‘এটা আমাদের জন্য দারুন একটি রাত ছিল। পার্ক ডি প্রিন্সেসে ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকার পর এভাবে ফিরে আসা সত্যিই অবিশ্বাস্য। নিজেদের ওপর আস্থা এতে অনেকখানি বেড়ে গেছে। পিএসজির মত দলের বিপক্ষে বিরতির সময় দুই গোলে পিছিয়ে থাকার পর অনেক দলই হাল ছেড়ে দেয়।’
শনিবার মেটজকে ১-০ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থান মজবুত করেছেন নিস। যে কারনে লুইস এনরিকের দলের সামনে সুযোগ ছিল নিজেদের আরো এগিয়ে নিয়ে যাবার। কিন্তু ছয় পয়েন্টের ব্যবধান নিয়েই তাদেকে সন্তুষ্ট থাকতে হলো। অস্টম ম্যাচে অপরাজিত ব্রেস্ট পিএসজির থেকে এখনো ৯ পয়েন্ট এগিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি এই দুই দল আবারো ফরাসি কাপের শেষ ষোলতে একে অপরের মুখোমুখি হবে। ১৯৮৫ সালের পর থেকে শেষ ২৭ ম্যাচে পিএসজির কাছে হেরেছে ব্রেস্ট।
পিএসজি বস এনরিকে বলেছেন, ‘কাপ ম্যাচ খুবই কঠিন হতে যাচ্ছে। ঐ ম্যাচেও যদি দ্বিতীয়ার্ধের মত কোন ঘটনা ঘটে তবে আমরা সমস্যায় পড়বো।’
লিগে শুরু থেকেই দাপট দেখানো পিএসজিকে ৩৮ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। বারকোলা ব্রেস্ট রক্ষনভাগকে ভেঙ্গে প্রথম গোলের যোগান দেন। কিলিয়ান এমবাপ্পের শট ব্রেস্ট গোলরক্ষক মার্কো বিজোট রুখে দিলে বারকোলা সেই বল ছিনিয়ে নিয়ে আসেনসিওর দিকে বাড়িয়ে দেন। প্রথম সুযোগেই স্প্যানিশ এই তারকা পিএসজিকে এগিয়ে দেন। কয়েক মিনিট পরেই বারকোলা ও আসেনসিও আবারো সম্মিলিত ভাবে পিএসজিকে দ্বিতীয় গোলের যোগান দেন। তাদেও সহায়তায় কোলো মুয়ানি বিজোটকে পরাস্ত করলে ব্যবধান দ্বিগুন হয়।
ম্যাচে ফিরে আসতে ব্রেস্টকে অবশ্য খুব বেশী সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। রোমেইন ডেল কাস্তিলোর সহায়তায় মাহদি কামারা শট নেন। কিন্তু তার শটটি ডানিলোর পায়ে লেগে গিয়ানলুইগি ডোনারুমাকে পাশ কাটিয়ে জালে প্রবেশ করলে আত্মঘাতি গোলের লজ্জায় পড়ে পিএসজি। ম্যাচ শেষের ১০ মিনিট আগে মার্টিন সাট্রিয়ানোর এ্যাসিস্টে পেরেরা লাগের ফ্লিকে সমতায় ফিরে ব্রেস্ট। এর আগে ব্রেস্ট কখনোই লিগ টেবিলের অষ্টম স্থানের উপরে উঠতে পারেনি। কিন্তু এবার সব বাঁধা অতিক্রম করে তারা একের পর এক নিজেদের এগিয়ে নিয়ে গেছে। দিনের আরেক ম্যাচে আফ্রিকান নেশন্স কাপ থেকে ফিরে আসা ঘানার আন্দ্রে আয়ুর জোড়া গোলে লি হাভরে ৩-৩ গোলে তলানির দল লোরিয়েন্টের সাথে ড্র করেছে। এর মধ্যে আয়ুর সমতাসূচক গোলটি হয়েছে স্টপেজ টাইমে।
টলুসেতে ২-০ গোলে পরাজিত করেছেন লেন্স। কিন্তু স্ট্রসবার্গের সাথে ১-১ গোলে ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ক্লারমন্টকে। টিনো কেডওয়ার পেনাল্টি মিস করায় নঁতে রেইমের সাথে গোলশুন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। মন্টিপিলিয়ার ঘরের মাঠে ১০ জনের লিলির সাথে গোলশুণ্য ড্র করতে বাধ্য হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০০:৩৫ ৩৩ বার পঠিত