ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশকে ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনের হাব এবং রপ্তানিকারক দেশে রূপান্তরে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে উৎপাদিত মোবাইল শতকরা ৯৫ ভাগ দেশীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ডিজিটাল ডিভাইস আমদানিকারক থেকে রপ্তানিকারক দেশে রূপান্তর করা সরকারের ডিজিটাইজেশনের স্বপ্নের অন্যতম লক্ষ্য ছিল।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় তার দপ্তর থেকে নারায়ণগঞ্জের মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত থেকে ট্রান্সশান হোল্ডিংসের মোবাইল ফোন উৎপাদন কারখানা আই স্মার্ট ইউ ফ্যাক্টরি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন শিল্পে বাংলাদেশে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ছোট খাটো কিছু সংকট বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে মোবাইল ফোন রপ্তানির একটি বড় বাজার হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। তবে বাংলাদেশে উৎপাদিত ডিজিটাল যন্ত্রের গুণগতমান নিশ্চিত করার পাশাপাশি গবেষণা ও উন্নয়নের প্রতি মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, সরকারের প্রযুক্তিবান্ধব নীতির ফলে দেশে বিশ্বমানের ১৫টি মোবাইল কোম্পানি মোবাইল ফোন কারখানা স্থাপন করেছে এবং আরো বেশ কয়েকটি কারখানা স্থাপন পাইপলাইনে আছে। মন্ত্রী বলেন, দেশে মোবাইল ফোনের অভিযাত্রা ১৯৮৯ সালে সীমিত আকারে শুরু হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে ২জি, ২০১৩ সালে থ্রিজি, ২০১৮ সালে ফোর-জি এবং ২০২১ সালে ফাইভ-জি প্রযুক্তির যুগে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ এলাকায় মোবাইল ফোনের ফোরজি নেটওয়ার্ক আমরা পৌঁছে দিয়েছি। দেশের প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌছে গেছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণ এবং তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগের উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি। দেশে ২০০৮ সালে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো যা বর্তমানে ৪১০০ জিবিপিএস এ উন্নীত হয়েছে।
এ সময় স্থানীয়ভাবে স্মার্টফোন উৎপাদন কারখানা চালুর জন্য ট্রান্সশান হোল্ডিংসের উদ্যোগের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, এটি স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এবং এর মাধ্যমে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ উদ্যোগ আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলো।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ইকোনমি জোন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ, মেঘনা গ্রুপ অভ্ ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, ট্রান্সশন হোল্ডিংসের চেয়ারম্যান জর্জ জু এবং বাংলাদেশে চীনের দূতাবাসের ইকোনমি ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সং ইয়াং বক্তৃতা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪০:৩২ ৪৮ বার পঠিত