পৌষের শেষের শীতে কাঁপছে রাজধানী ঢাকাসহ পুরো দেশ। হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় জনজীবনে বেড়েছে ভোগান্তি। অল্প দূরের রাস্তাও দেখা না যাওয়ায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। বেশি বিপাকে কৃষি শ্রমিকসহ নিম্ন আয়ের মানুষ।
এতদিন সারাদেশে শীত পড়লেও ঢাকায় তার প্রভাব পড়েনি। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীতে জেঁকে বসেছে শীত। ঠান্ডা বাতাসে জবুথবু নগরবাসী। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার সর্বনিম্ন ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। তবে এ তাপমাত্রার চেয়েও শীত বেশি অনুভব হচ্ছে।
এ ছাড়া সকাল থেকে ঢাকায় পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ।
আবহাওয়া অফিস বলছে, দিনে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। সেইসঙ্গে এ তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আবহাওয়া থাকতে পারে শুষ্ক। এ সময় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে।
মূলত শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। কুয়াশার চাদরে মোড়ানো চারপাশ। ঝরছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো। সঙ্গে হিম শীতল বাতাস বাড়াচ্ছে দুর্ভোগ।
শনিবার বেলা বাড়লেও দেখা মিলছে না সূর্যের। তাই অনেকেই রাস্তার পাশে খড়খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। কর্মজীবীরা শীতের পোশাক পড়ে ছুটছেন কর্মস্থলে। মার্কেটের পাশাপাশি ফুটপাতেও বেড়েছে শীতের পোশাক বিক্রি।
এদিকে আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবহা অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া সারাদেশে আগামী কয়েক দিন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৩১:৪১ ২৬ বার পঠিত