চলতি বছরের হজ প্যাকেজের খরচ নির্ধারণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। হজ প্যাকেজে অতিরিক্ত খরচ নির্ধারণ করা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না এবং হজ যাত্রী পরিবহনে সব আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সকে অনুমতি দিতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর করা রিটে প্রাথমিক শুনানির পর সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে ধর্ম সচিব, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন সচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ও হজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশকে (হাব) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৪ সালের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে পারবেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাবেন ১০ হাজার ৯৮ জন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাবেন ১লাখ ১৭ হাজার জন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ২টি; সাধারণ প্যাকেজ মূল্য ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা আর বিশেষ প্যাকেজ মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা।
গত বছরের তুলনায় সাধারণ প্যাকেজের ব্যয় ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা কম ধরা হয়েছে। বিমান ভাড়া ১,৯৪,৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১ মার্চ থেকে হজ ভিসা শুরু হবে। আর হজ ফ্লাইট শুরু হবে ৯ মে থেকে।
গত ৮ নভেম্বর এই হজ প্যাকেজের গেজেট জারি করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ওই গেজেটে অতিরিক্ত খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে দাবি করে জনস্বর্থে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আশরাফ-উজ-জামান।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী পারভেজ হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্যাকেজে বাড়ি, বিমান ভাড়া, সৌদি আরবে যাতায়ত খরচ অতিরিক্ত ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে ট্যাক্সও অতিরিক্ত।
এগুলো কমানোর নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনটি করা হয়েছে।’
নির্দিষ্ট এয়ারলাইন্স ছাড়া হজ যাত্রী পরিবহন করার সুযোগ নেই উল্লেখ করে এ আইনজীবী বলেন, ‘এই একচেটিয়া ব্যবস্থাপনার বৈধতাও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল রিটে। আদালত প্রাথমিক শুনানির পর রুল জারি করেছেন।’
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১৫:৩৬ ৪৯ বার পঠিত