যে খাবারের নাম শুনলেই আমাদের মুখে পানি আসে, তা হলো তেঁতুল। সাধারণত আমরা টক খাওয়ার জন্য তেঁতুল খাই। এটি রোগপ্রতিরোধ করতে পারে। তেঁতুলের রস শরীরে এইচসিএ বা হাইড্রোক্সিসিট্রিক এসিডের মাত্রা বাড়িয়ে পেটের অতিরিক্ত চর্বি গলাতে সাহায্য করে।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, তেঁতুলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তেঁতুল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমায়। এছাড়া ওজন কমানোর জন্য এটি খুবই কার্যকরী।
তেঁতুলে হাইড্রক্সিসাইট্রিক অ্যাসিড রয়েছে, যা শরীরে চর্বি জমতে দেয় না। এই অ্যাসিড সেরোটোনিন নিউরোট্রান্সমিটারের মাত্রা বাড়িয়ে খিদে কমায়। খাবারে রাশ টানলেই ওজন বাড়বে না। এ ক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় তেঁতুলের শরবত রাখতে পারেন। গরমের দিনে তেষ্টাও মিটবে আর সুস্বাস্থ্যও পাওয়া যাবে।
এছাড়া রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেঁতুল খুব ভালো কাজ করে। তাই নিয়মিত তেঁতুল খেলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। তেঁতুলের মধ্যে থাকা অ্যাসকরবিক অ্যাসিড খাবার থেকে আয়রন সংগ্রহ করে শরীরের বিভিন্ন কোষে তা পৌঁছে দেয়। ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বেড়ে যায়।
অনেকেই আছেন বদহজমের সমস্যায় ভোগেন। এক কাপ পানিতে তেঁতুল ভিজিয়ে সামান্য লবণ, চিনি বা গুড় মিশিয়ে খেলে বদহজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তেঁতুলে থাকা ডায়াটারি ফাইবার হজমে সাহায্য করে। গ্যাসের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে তেঁতুল।
ঋতু পরিবর্তনের সময়ে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দিকাশি থেকে রেহাই পেতে গরম জলে তেঁতুল আর গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আর অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যেগুলি শারীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধেও তেঁতুল অত্যন্ত কার্যকর।
চলুন জেনে নিই তেঁতুল-পুদিনা শরবত বানানোর উপায়-
বেশ খানিকটা তেঁতুল পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তেঁতুল নরম হয়ে গেলে ক্বাথ বের করে নিন। এবার একটি গ্লাসে দু’চামচ তেঁতুলের ক্বাথ, ভাজা জিরে, শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, বিটনুন, গোলমরিচের গুঁড়ো আর এক চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে নিন। বরফ আর পুদিনা পাতা দিয়ে পরিবেশন করুন তেঁতুলের শরবত।
সূত্র: হেলথ শটস
বাংলাদেশ সময়: ১১:২০:২৬ ৪৮ বার পঠিত