আজ থেকে শুরু হওয়া ইউরোপীয়ান শীতকালীণ ট্রান্সফার উইন্ডোতে নি:সন্দেহে মূল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। রিয়াল মাদ্রিদ তার দলবদলের ব্যপারে গত দুই বছর যাবত যেভাবে জোড়ালো ভূমিকা রেখেছে তা নিয়ে পিএসজিতে এমবাপ্পের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা থেকেই যায়।
এদিকে ২০০৪ সালের পর প্রথমবারের মত প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ের চ্যালেঞ্জে আর্সেনাল একজন স্বীকৃত স্ট্রাইকারের খোঁজ করবে বলে ইঙ্গিত রয়েছে।
ম্যানচেস্টার সিটি তাদের অভিজ্ঞ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার কালভিন ফিলিপসকে ছাড়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। লিডসের সাবেক এই মিডফিল্ডারের জন্য সিটির সময়টা খুব একটা ভাল যায়নি। যে কারনে দুই বছরের মধ্যেই তাকে ছেড়ে দেবার সিটির সবাই একমত পোষন করেছে।
রিয়াল মাদ্রিদ আরো একবার ২৫ বছর বয়সী এমবাপ্পেকে দলে নিতে জোড় প্রচেষ্টা চালাবে। জুনে পিএসজির সাথে এমবাপ্পের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। যে কারনে জানুয়ারিতেই এমবাপ্পে ফ্রি এজেন্টে পরিনত হবেন। ১৪ বারের ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নরা মাদ্রিদ এবার আর কোনভাবেই ফরাসি এই তারকাকে হারাতে চায়না। ২০২২ সালের জুনেই রিয়াল মাদ্রিদে যাবার বিষয়টা প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেসময় বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁখোর হস্তক্ষেপে পিএসজিতেই থেকে যাবার সিদ্ধান্ত নেন এমবাপ্পে। কিন্তু রিয়াল তখন থেকেই এমবাপ্পের জন্য আশা ছাড়েনি। যদিও ব্রাজিলিয়ান টিনএজার এনড্রিককে ইতোমধ্যেই পালমেইরাস থেকে দলে নেবার সব কিছু চূড়ান্ত করে ফেলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। আগামী বছর জুলাইয়ে ১৮ বছর হবার পর ৭২ মিলিয়ন ইউরোতে এনড্রিক রিয়ালে যোগ দিবেন।
স্বীকৃত একজন স্ট্রাইকারের অভাব বেশ কিছুদিন ধরেই অনুভব করছিল আর্সেনাল। জানুয়ারি ট্রান্সফার উইন্ডোকে সামনে রেখে ব্রেন্টফোর্ড ফরোয়ার্ড ইভান টনিকে তারা টার্গেট করেছে। গানার্সদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের প্রস্তাব পেলেও রেলিগেশন জোন থেকে চার পয়েন্ট উপরে থাকা ব্রেন্টফোর্ড ২৭ বছর বয়সী টনিকে ছেড়ে দিয়ে কোন ধরনের ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেনা।
২০২২ ইউরো ফাইনালে ইংল্যান্ডকে পৌঁছে দেবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা কালভিন ফিলিপস যখন সিটিতে যোগ দেন তখন বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু পেপ গার্দিওলাকে তিনি খুব একটা সন্তুষ্ট করতে পারেননি। ফিলিপসকে দলে নিতে জুভেন্টাস মুখিয়ে আছে। ইউরো ২০২৪’কে সামনে রেখে ফিলিপসও ইংল্যান্ড দলে জায়গা ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তবে নিউক্যাসলেও তার ব্যপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। ইনজুরি তালিকা দীর্ঘ হওয়ায় নিউক্যাসল বর্তমানে প্রিমিয়ার লিগে বেশ বিপাকে রয়েছে। যে কারনে ফিলিপসকে নিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে পেতে চায় ম্যাগপাইসরা। সাম্প্রতিক সময়ে লিগ টেবিলের অনেকটা নীচে নেমে গেছে এডি হাউয়ের দল। আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আবারো খেলতে হলে তাদেরকে হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারে এখন থেকেই মনোযোগী হতে হবে।
বুন্দেসলিগায় এবারের মৌসুমে স্টুটগার্টের হয়ে ১৭ গোল করা সারহু গুইরাসিকে নিয়েও নিউক্যাসল আশাবাদী। সৌদি পেশাদার লিগের সাথে যোগাযোগের ভিত্তিতে সেখান থেকেও ইউরোপীয়ান খেলোয়াড়দের ফিরিয়ে আনার একটি প্রচেষ্টা চালাবে নিউক্যাসল, এমন ইঙ্গিতও এবারের দলবদলের বাজারে রয়েছে। যদিও ডিসেম্বরের শুরুতে রুবেন নেভেস বলেছিলেন তিনি নিউক্যাসলের প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। কারন তার পরিবার সৌদি আরবে বেশ আনন্দে আছে। গ্রীষ্মে ইংলিশ লিগে লিভারপুল ছেড়ে সৌদি লিগে পাড়ি জমিয়েছিলেন ফরোয়ার্ড রবার্তো ফিরমিনো। কিন্তু সেখানে গিয়ে আল আহলি ক্লাবের সাথে তিনি মানিয়ে নিতে পারেননি। ৩২ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ানের আরেক দল আল ইত্তিফাকে চলে যাবার গুঞ্জন রয়েছে। এই ক্লাবের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন লিভারপুলের সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন জেরার্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩৪:৪১ ৬৮ বার পঠিত