খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন এনডিসি বলেছেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি খাদ্য ব্যবসায়ীদেরও এগিয়ে আসতে হবে। কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে নিরাপদ খাদ্য প্রস্তুত ও বিক্রয়ের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ব্র্যান্ডিং করবে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) ও দ্য গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভ নিউট্রিশনের (গেইন) উদ্যোগে এক কর্মশালায় এ কথা বলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব।
অ্যাডভোকেসি ওয়ার্কশপ অন কো-অর্ডিনেশন ইন এনফোর্সমেন্ট অ্যান্ড মনিটরিং অব দ্য মার্কেট অ্যান্ড ফুড ইস্টাবলিশমেন্টস শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. ইসমাইল হোসেন বলেন,
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি খাদ্য ব্যবসায়ীদেরও এগিয়ে আসতে হবে। কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে নিরাপদ খাদ্য প্রস্তুত ও বিক্রয়ের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ব্র্যান্ডিং করবে। এ জন্য খাদ্য ব্যবসায়ীদেরও বিভিন্ন সেমিনার ও কর্মশালা আয়োজন করতে হবে।
কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে খাদ্যসচিব বলেন, উন্নত দেশের তুলনায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা ও জনবল প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
সীমাবদ্ধতার মধ্যেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে নিরাপদ খাদ্যের অন্যতম গন্তব্য।
সকাল ১০টায় কর্তৃপক্ষের সদস্য নাজমা বেগমের স্বাগত বক্তব্যে শুরু হওয়া এ কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাক হাসান মো. ইফতেখার।
তিনি তার আলোচনায় অফিশিয়াল ফুড কন্ট্রোল প্ল্যান, খাদ্যনিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মধ্যে সেবাদান চুক্তি, খাদ্য ব্যবসায়ীদের নিয়ে কেন্দ্রীয় ডেটাবেজ নির্মাণ, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার তথ্য সংরক্ষণ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মাঝে সমন্বয় ইত্যাদি বিষয়ে এবং প্রতিষ্ঠানগুলো ভূমিকা কী হতে পারে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য মো. রেজাউল করিম। তিনি বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে বলে মন্তব্য করেন।
অন্য এক আলোচকের ভূমিকায় ঢাবির রসায়ন বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইকবাল রউফ মামুন বলেন, পরিদর্শন কার্যক্রম রি-অ্যাকটিভ না হয়ে প্রো-অ্যাকটিভ হতে হবে।
তিনি ইউনিফর্ম কাঠামোর মাধ্যমে পরিদর্শন কাজ পরিচালনার কথা বলেন। এদিকে বাংলাদেশ কৃষি বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. গোলজারুল আজিজ তার আলোচনায় সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণে সরকার ও দাতা সংস্থাকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার। পাশাপাশি বিএফএসএর সঙ্গে কাজ করার জন্য তিনি গেইন-এর কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
কর্মশালায় বিভিন্ন খাদ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, সরকারি দফতরের কর্মকর্তা, গেইন ও বিএফএসএর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৩৯:২৩ ৬৮ বার পঠিত