প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষেত্রে আমাদের এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, সিদ্ধান্ত হলে তখন দেখা যাবে।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মো. আলমগীর বলেন, প্রার্থীদের শোকজ নির্বাচন কমিশন করে না। শোকজ করে রিটার্নিং অফিসাররা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানা, আইনের ধারায় মামলাও করা হয়েছে।
কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নির্দেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনও ২৪ ঘণ্টা হয়নি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, কার প্রার্থিতা বাতিল করবো, কার প্রার্থিতা বাতিল করবো না, সেটি অগ্রিম বলা যাবে না। রিপোর্ট দেখার পর সেখানে দেখতে হবে, সেখানে কি আছে। রিপোর্ট হাতে এলে তখন আমরা বসবো, আলোচনা করে দেখবো এবং নিয়ম অনুযায়ী তাকেও তো আমাদের শুনতে হবে। তাকে বলতে হবে, আপনার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আছে। এই বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী। তারপর যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিএনপি নির্বাচনে না আসায় আপনাদের অর্ধেক কাজ হয়ে গেছে। বাকি অর্ধেক কাজ আপনারা সঠিকভাবে পালন করতে কেন ব্যর্থ হচ্ছেন— এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়টা সঠিক না। কারণ আমি আপনাদের মিডিয়াতেই দেখেছি, সবাই নির্বাচনী প্রচারণায় ধাম ঢালে আছে। আমি সব চ্যানেল ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখি। আমি নির্বাচনের আনন্দ সব জায়গায় দেখছি।
তিনি বলেন, ১৮শর বেশি প্রার্থী। তার সমর্থক কত, ভোট কেন্দ্র কত? একটা আসনে তো আর একা না। সেখানে আরো অনেক সমর্থক আছে। গড়ে যদি আমরা ছয় জন বা সাতজন করে ধরি, তাহলে কিন্তু তাদের অনেক সমর্থক আছে। সেখানে টুকটাক ছোট ঘটনা হতে পারে। বাংলাদেশের সব নির্বাচনে এই ধরনের ঐতিহ্য আছে। এবারও ব্যতিক্রম না। তবে আমাদের পক্ষ থেকে সব জায়গায় কঠিন বার্তা দেওয়া হচ্ছে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনার একটু অপেক্ষা করেন, দেখতে পাবেন।
তিনি আরও বলেন, একজন প্রার্থী আচরণবিধির কতটুকু ভঙ্গ করছেন, সেই মাত্রাটাও দেখতে হবে। বড় আচরণ ভঙ্গ করলে তার ছোট শাস্তি দেওয়া যাবে না। আর ছোট আচরণ ভঙ্গ করে তো বড় শাস্তি দেওয়া যাবে না।
বিএনপির ভোট বর্জন করায় নির্বাচন করাটা কিছুটা চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, একটি বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না, সেটা আমরা অস্বীকার করছি না। তারা এলে আরও ভালো হতো, নির্বাচনটা ব্যালেন্সড হতো। যেখানে আমরা খুব সহজে পজিটিভ রেজাল্ট পেতাম। এজন্য আমাদের বলতে হবে নির্বাচনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তারা তো নির্বাচনে আসে নাই, বরং নির্বাচন বাধা দেওয়ার কার্যক্রম করে যাচ্ছে। তারা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন ভোট বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছে, সেটা নিয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। আমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আহ্বান যে কেউ জানাতে পারে। আমাদের আইনে যেগুলো নিষেধ করা হয়েছে, সেগুলো তারা করে যাচ্ছে। এজন্য আমাদের একটু চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। বিএনপি নির্বাচনে এলে নির্বাচন ম্যানেজমেন্টের জন্য যে সময় তারা দিতে পারতেন, সেই সময়টা কিন্তু তারা দিচ্ছেন না। যার জন্য আপনারা দেখছেন বাসে আগুন দিচ্ছে, ট্রেনে আগুন দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৪৯:৩৯ ৩৮ বার পঠিত #নির্বাচন ২০২৪