উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ব্যক্তিগতভাবে এ সপ্তাহে পরীক্ষা চালানো দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী সলিড-ফুয়েল চালিত আন্ত:মহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) উৎক্ষেপণ প্রত্যক্ষ করেছেন। ক্ষেপণাস্ত্রটি দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী সোমবার বলেছে, উত্তর কোরিয়া সলিড-ফুয়েল চালিত একটি শক্তিশালী ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। এ পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্ষেপণাস্ত্র পরিবহন করা অনেক সহজ এবং এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র তরল জ্বালানি চালিত ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে দ্রুত গতির হয়ে থাকে।
এপ্রিল এবং জুলাইয়ে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর পর এনিয়ে উত্তর কোরিয়া তৃতীয়বারের মতো সলিড-ফুয়েল চালিত আইসিবিএম উৎক্ষেপণ করলো। প্রযুক্তির উন্নতির জন্য ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে পিয়ংইয়ং এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা ইঙ্গিত দেন।
সোমবার এ ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণের কথা উল্লেখ করে উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা ‘কেসিএনএ’ জানায়, ‘আইসিবিএম হোয়াসংফো-১৮ নামের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে যাতে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কৌশলগত শক্তির অপ্রতিরোধ্য শক্তিমত্তা দেখানো হয়।’
কেসিএনএ জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি ১ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
উত্তর কোরিয়া রোববার রাতে স্বল্প-পাল্লার একটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর পর এ ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো। এনিয়ে চলতি বছর উত্তর কোরিয়া রেকর্ড সংখ্যক অস্ত্রের পরীক্ষা চালায় এবং পশ্চিমা দেশগুলো পিয়ংইয়ংয়ের এসব অস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা করেছে।
উত্তর কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার মিত্রদের মধ্যে চরম বাক-বিতন্ডার পর একের পর এক এসব অস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া শুক্রবার ওয়াশিংটনে পারমাণবিক পরামর্শদাতা গ্রুপের দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর এ অধিবেশনে উত্তর কোরিয়ার সাথে সংঘাতের পারমাণবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
শনিবার তারা হুশিয়ারি বার্তা উচ্চারণ করে বলেছে, পিয়ংইয়ং থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার উপর যেকোন ধরনের পরমাণু হামলা চালানো হলে উত্তর কোরিয়ার শাসনের পতন ঘটবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৮:০৪ ৩৫ বার পঠিত