সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল প্রাঙ্গণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রথম পর্বে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন।
এরপর কনসাল জেনারেলের নেতৃত্বে কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় কমিউনিটি সংগঠনগুলোর নেতারা একে একে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
দ্বিতীয় পর্বে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শুরু হয়। শুরুতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পাঠানো বাণী কনস্যুলেটের সিনিয়র কর্মকর্তারা পাঠ করেন।
আলোচনা সভায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ৩০ লাখ শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং দুই লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।
দুবাই ও উত্তর আমিরাতে বসবাসরত সব সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা, পেশাজীবী, সাধারণ শ্রমিক ও বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা, জনতা ব্যাংক, বিমান বাংলাদেশ এবং কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা আলোচনায় অংশ নেন।
সভায় উপস্থিত সবাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করাসহ শান্তিময়, সুখী ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং দলমত নির্বিশেষে দেশের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান।
সমাপনী বক্তব্যে কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান। তিনি মহান বিজয় দিবসে স্বাধীনতার সুফল জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করার এবং বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখার আহ্বান জানান।
তিনি বাংলাদেশ উন্নয়নের মাইলফলক স্বপ্নের পদ্মা সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলসহ বর্তমান সরকারের গৃহীত অন্যান্য উন্নয়ন কার্যক্রমে প্রবাসীদের অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি কনস্যুলেট জেনারেলের সেবার মানোন্নয়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার বিষয়টি তুলে ধরেন এবং প্রবাসীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা, মুক্তিযোদ্ধাদের ও শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। কনসাল জেনারেল উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৫২:৩৩ ৭৫ বার পঠিত