আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ-২০২৩ উদযাপনের অংশ হিসেবে ঢাকার ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ‘খাদ্য নিরাপত্তা ও মিলেট-এর গুরুত্ব’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে।
রোববার ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা প্রদর্শনীটির উদ্ধোধন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, বহু শতক ধরে মিলেট আমাদের খাদ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বাস্থ্যগত উপকারিতার দিকটি ছাড়াও, কম জল ও স্বল্প প্রয়াসের কারণে পরিবেশের জন্যও মিলেট শ্রেয়। সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এবং সারা বিশ্বে মিলেট উৎপাদনের ব্যবহার বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
ভারত সরকারের অনুরোধে জাতিসংঘ ২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
হাই কমিশনার ভার্মা তার বক্তব্যে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পুষ্টিকর খাদ্য জনপ্রিয়করণ, টেকসই কৃষির প্রচার ও কৃষকদের আর্থিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে মিলেট-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, মিলেট-সংক্রান্ত বিষয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবহারিক জ্ঞান বিনিময়, সর্বোত্তম অনুশীলনের আদান-প্রদান এবং গবেষণা ও উন্নয়ন উদ্যোগে সহযোগিতা করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানটি আয়োজনে ভারতীয় হাই কমিশনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের কৃষি খাতে রূপান্তর এবং মিলেট উৎপাদন ও এর ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য গৃহীত পদক্ষেপসমূহও তুলে ধরেন।
হাইকমিশন বলছে, ভারত-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো কৃষি সহযোগিতা। ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ই এই দুই দেশের জন্য একটি উজ্জ্বল ও আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে মিলেট- এর শক্তিকে কাজে লাগানোর পথে নেতৃত্ব দিতে পারে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের (এফএও)
প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:০৩:১২ ৬৭ বার পঠিত