বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, প্রতিবছরের মতো এবারও হজের গুরুত্ব ও ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সুষ্ঠু হজ পরিবহন কার্যক্রম পরিচালনার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক সফলতার কারণে ২০১৯ থেকে ঢাকা বিমানবন্দরেই সম্পন্ন হচ্ছে হজযাত্রীদের সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন, হজযাত্রা হয়েছে সহজ ও আরমদায়ক।
তিনি গতকাল হজ ফ্লাইট এর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজ পরিবহণের সকল বিষয় আমরা সার্বক্ষণিক ও নিবিড় মনিটরিং করছি। সুষ্ঠুভাবে হজ পরিবহন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য সম্মানিত হজযাত্রীগণ ও সকল অংশীজনের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। তিনি বলেন, বিমান গত বছরের মত এবারও ঢাকা থেকে জেদ্দা ও মদিনায় ফ্লাইট পরিচালনার পাশাপাশি চট্টগ্রাম এবং সিলেট থেকেও জেদ্দায় ও মদিনায় ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লিট আধুনিকায়নের ফলে সক্ষমতা বাড়ায় ২০১৯ সাল থেকে বিমান তাদের নিজস্ব উড়োজাহাজ দিয়ে হজ পরিবহন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ বছরও হজযাত্রী পরিবহনে বিমান তাদের ৪ টি অত্যাধুনিক ও সুপরিসর বোয়িং-৭৭৭ ইআর এবং ১ টি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনারসহ মোট ৫ টি উড়োজাহাজ ব্যবহার করবে।
চলতি বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট বিজি-৩০০১ মোট ৪১৫ জন যাত্রী নিয়ে গতকাল দিবাগত রাত ৩.২০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ঢাকা ছেড়ে যায়। এছাড়াও, বিমানের আরো ৪টি ফ্লাইট আজ দিনের বিভিন্ন সময়ে জেদ্দার উদ্দেশ্যে হজযাত্রীদের নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করার কথা।
হজ ফ্লাইট ছেড়ে যাওয়ার সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাস্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানসহ অন্যান্যরা বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে হজযাত্রীদের বিদায় জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০০:২৩ ৬৩ বার পঠিত