রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৩১ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ৭৯২ পিস ইয়াবা, ১০ গ্রাম হেরোইন, ৩১৫ বোতল ফেনসিডিল ও ৪২ কেজি ৪৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে শনিবার সকাল ৬টা থেকে রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৩টি মামলা করা হয়েছে।
এদিকে রাজধানীর মগবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে সালাম দিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি করা চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের একটি টিম।
গ্রেফতারকৃতদের নাম মো. সজল সিদ্দিক ওরফে ইশা, মো. আবুল হোসেন, মো. রফিকুল ইসলাম সবুজ, মো. আরেফিন, মো. আমির আলী, মো. মোমিন প্রামাণিক ও শাহিন। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতিকৃত ৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
ওয়ারী জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াছ হোসেনের নেতৃত্বে মগবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার দুপুরে ডিএমপির ডিবি কম্পাউন্ডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন,
গত ৪ ডিসেম্বর বেলা ১২টার দিকে ব্যাংক কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন মতিঝিল থেকে রিকশাযোগে ওয়ারীর র্যাংকিন স্ট্রিটের একটি হোটেলে দুপুরের খাবারের জন্য যাচ্ছিলেন। তিনি হোটেলের কাছাকাছি আসলে রিকশাযোগে কয়েকজন লোক এসে সালাম দিয়ে তার গতিরোধ করে। এরপর তাকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তার কাছে থাকা নগদ ২৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগী এ ব্যাংক কর্মকর্তা বাদী হয়ে ওই দিন ওয়ারী থানায় একটি ডাকাতি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা টিম। গত ৬ ডিসেম্বর এই চক্রটি মগবাজার এলাকায় পুনরায় ছিনতাইয়ের জন্য এক ব্যক্তির গতিরোধ করলে দলের মূলহোতা সজলসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মগবাজার রেলগেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রের অপর ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, গ্রেফতারকৃত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গ্রেফতারকৃতদেরকে ওয়ারী থানার মামলায় বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হলে সজল ও আমির আলী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সূত্র ডিএমপি
বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৩:৫৬ ৩৪ বার পঠিত