তিস্তা চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করতে চায় বাংলাদেশ

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারি » তিস্তা চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করতে চায় বাংলাদেশ
শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩



তিস্তা চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করতে চায় বাংলাদেশ

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) ঐতিহাসিক হায়দ্রাবাদ হাউসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় খাতরা। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের বৃহত্তর সমৃদ্ধির জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা আরও গভীর করার ওপর জোর দেন তারা।

এটি ছিল চলতি বছর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি)। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে প্রথম এফওসি অনুষ্ঠিত হয় ঢাকায়। এফওসি বৈঠকে দুই দেশ সাধারণত পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সব প্রধান ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে। যাতে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত খাতসমূহে সহযোগিতা বৃদ্ধি পায়।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব সম্প্রতি ভারতের নেতৃত্বে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র নেতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যোগদানের আমন্ত্রণ জানানোয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

উভয় পররাষ্ট্র সচিব দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। দুই দেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি তথা যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধনের কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, এই ধরণের সহযোগিতা শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করে।

এছাড়া দুই পররাষ্ট্র সচিব উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য, আঞ্চলিক সংযোগ, আঞ্চলিক পাওয়ার গ্রিড সংযোগ, নিরাপত্তা ও পানি সংক্রান্ত সমস্যা, কনস্যুলার ও সাংস্কৃতিক বিষয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারের ওপর জোর দেন। তারা অনুন্নত দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ তা মোকাবেলা করার বিষয়েও আলোচনা করেন।

উভয় দেশের দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিয়েছেন তারা। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন তিস্তা চুক্তি সমস্যার আশু সমাধান ও অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন চুক্তি, বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্য থেকে বাণিজ্য বাধা দূর করা এবং দুই দেশের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করার মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করেছেন।

এছাড়া পররাষ্ট্র সচিব দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ সম্প্রসারণের জন্য ভিসা প্রদান প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ভারতের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় খাতরা বাংলাদেশকে বিশ্বস্ত প্রতিবেশী হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গ্লোবাল সাউথের ভার্চুয়াল বৈঠকে ও জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশে দূতাবাস নেই দিল্লিতে থাকা এমন ৯০ দেশের রাষ্ট্রদূত ও মিশন প্রধানদের ব্রিফিং করবেন। ব্রিফিংয়ে তিনি বাংলাদেশের সাম্প্রতি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৭:৪০   ৩৯ বার পঠিত  




ছবি গ্যালারি’র আরও খবর


সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড, ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে উপদেষ্টারা
সচিবালয়ে আগুন কী নাশকতা, যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সচিবালয়ের বাইরে হাজারও কর্মকর্তা-কর্মচারীর ভিড়, এক গেট দিয়ে প্রবেশ
ইতিহাসের এই দিনে
আজকের রাশিফল



আর্কাইভ