শীতকালে অনেকেরই অল্পতেই ঠান্ডা লেগে যায়। তাই উষ্ণ থাকাটা জরুরি। এতে করে ঠান্ডার সমস্যা কিছুটা হলেও কম হবে। শীতে আমরা যখন সূর্যের উষ্ণতা অনুভব করার জন্য অপেক্ষা করি, তখন আমরা যা করতে পারি তা হল বিছানায় থাকা কিংবা শীতের পোশাক পরে বের হতে পারি। তবে আরামদায়ক থাকার জন্য আপনি উষ্ণ পানীয়তে চুমুক দিতে পারেন।
শীতে উষ্ণ জাতীয় সুস্বাদু পানীয় পান করতে চান না কে? যদি কফি আপনার পছন্দ না হয়ে থাকে, তাহলে এর বিকল্প কিছু পানীয় আছে- যেগুলো শীতে আপনাকে উষ্ণতা দেবে। চলুন জেনে নিই, শীতে সুস্থ থাকতে কোন কোন পানীয় পান করা উচিত-
হলুদ লাটে
হলুদ দুধের কথা নিশ্চয়ই আমরা সবাই শুনেছি! আর এবার হলুদ দুধেরই লাটে পানের চেষ্টা করুন। এটি আপনার শরীরে উষ্ণতা অনুভব করাবে। এছাড়া দুধ থেকে অর্জিত পুষ্টিতে আপনি শক্তিশালী অনুভব করবেন। হলুদ আপনাকে প্রদাহ বিরোধী, শরীরে উষ্ণ তাপমাত্রা বজায় রাখে, ওজন কমাতে ও ঘুমাতে সাহায্য করবে।
এটি তৈরি করতে আপনাকে নিতে হবে কাঁচা বা গুঁড়ো হলুদ, গোল মরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, আদা, মধু, জায়ফল (ঐচ্ছিক) ও দুধ। এ সব উপদানগুলো একসঙ্গে ভালো করে জাল দিয়েই আপনি তৈরি করেত পারেন হলুদ লাটে।
বাদাম দুধ
আমরা সবাই অবশ্যই বাদাম দুধ খেয়ে থাকি, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে। যখন ঠাণ্ডা পরিবেশন করা হয় তখন এটি গ্রীষ্মের তাপকে পরাজিত করে, কিন্তু শীতকালে এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী হতে পারে। কেননা এটি আমাদের শরীর গরম রাখে। এ ছাড়া এটিতে প্রোটিন এবং চর্বি একটি ভাল সমন্বয় আছে ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য আছে।
বাদাম দুধ তৈরি করতে আপনাকে প্রয়োজন অনুযায়ী দুধ নিতে হবে। এ ছাড়া ৭-৮টা বাদাম, সামান্য পরিমাণ জাফরান ও এলাচ। গরম বাদাম দুধ তৈরি করতে দুধ ফুটিয়ে তার মধ্যে বাদামগুলো বিট করে দিয়ে দিন। এর মধ্যে এলাচ যোগ করুন এবং এটি ফুটে উঠলে হয়ে যাবে। সবশেষে আপনাকে এতে জাফরান যোগ করতে হবে।
আপেল সিডার ভিনেগার
আপেল সিডার ভিনেগার আমাদের শরীরের প্রদাহ বিরোধী, হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়, মেটাবলিজম বাড়ায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া উষ্ণ গরম পানিতে সামান্য পরিমাণ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে পান করলে ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে।
আদা-মধু চা
আদা ব্যবহার করা সবচেয়ে ঐতিহ্যগত এবং বিকল্প ওষুধগুলোর মধ্যে একটি। ওজন কমাতে এবং শীতকালীন অ্যালার্জি নিরাময়ে এর উপকারিতা রয়েছে। এছাড়া আদাও শরীরের ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে।
লেবু পানি
সাইট্রাস ফল লেবুর পুষ্টিগুণের কথা আমাদের সবারই জানা। ক্লান্তি দূর করে চনমনে ভাব ফিরিয়ে আনতে লেবুর শরবতের জুড়ি নেই। তবে চিনি ছাড়া কেবল পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে বেশ কিছু উপকারিতা পাবেন।
এক গ্লাস পানিতে একটি লেবুর রস মিশিয়ে নিলে ১৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ৬৫ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম ছাড়াও মিলবে প্রোটিন, ক্যালোরি ও কার্বোহাইড্রেট। এটি ডিহাইড্রেশন থেকে দূরে রাখবে।
লেবু পানি আমাদের ত্বক ভালো রাখে, সকালে খালি পেটে এক গ্লাস লেবু পানিতে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। ২০১৯ সালে করা একটি সমীক্ষা বলছে, লেবু পানি পলিফেনল সমৃদ্ধ পানীয় যা অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে। এছাড়া অন্ত্রে বয়স-সম্পর্কিত পরিবর্তনগুলোকে বিলম্বিত করে।
সূত্র: হেলথ শটস
বাংলাদেশ সময়: ১২:৩৬:৪২ ৫২ বার পঠিত