ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কৃষক আলমগীর মাতুব্বর হত্যার প্রতিবাদে এবং আসামিদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার আলগী ইউনিয়নের ছোট খারদিয়া গ্রামের সর্বস্তরের জনগন ও নিহত আলমগীরের পরিবার ছোটখারদিয়া গ্রামের খারদিয়া পীরেরচর রাস্তা সংলগ্নে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কাওছার মাতুব্ব, আইয়ুব মাতুব্বর, সোহেল বেগ, সাদেক মাতুব্বর, ইব্রাহিম মোল্লা, কুদ্দুস মাতুব্বর প্রমুখ।
বক্তারা দিন দুপুরে যারা পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছে তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
মানববন্ধনে নিহত কৃষক আলমগীরের তিন মেয়ে সাদিয়া আক্তার (২০) রহিমা বেগম (২২) রেবা বেগম (২৫) ব্যানারের সামনে দাঁড়িয়ে বাবার খুনিদের বিচার দাবিতে কান্না শুরু করলে সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। নিহতের স্ত্রী বিলকিছের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠে।
নিহত আলমগীর ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ছোট খারদিয়া গ্রামের মৃত হাজী লাল মিয়া মাতুব্বরের ছেলে।
উল্লেখ্য, ভুমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে ধান কাটাকে কেন্দ্রকরে গত ১৩ মে বিকেলে শাহ আলম মাতু্ববর তার পৈত্তিক জমিতে ধান কাটতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাতে বাধা দিলে আলমগীর মাতুব্বর তাদের নিষেধ করলে প্রতিপক্ষের লোজজন আলমগীর মাতুব্বরের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বেআইনি জনতাবদ্ধে দেশীয়, ঢাল-সড়কি, লোহার রড, রামদা, ছ্যান, হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে স্থানীয়রা আলমগীরকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসারত অবস্থায় ১৪ মে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বিলকিচ বেগম কাওছার মাতুব্বর, ছরোয়ার মাতুব্বর, ছানু মাতুব্বর, নুরুল ইসলাম মোল্লা, বাবলু মাতুব্বরসহ ৫৭ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ১০-১৫ জনের নামে ভাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এ ঘটনায় মূল আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় স্থানীয়দের এবং নিহত পরিবারের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:৫৯:০১ ৬৩ বার পঠিত