ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে জিম্মি ইসরাইলি ও অন্যান্য বিদেশিদের মুক্ত করে আনার দাবিতে তেল আবিবে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। শনিবারের (১১ নভেম্বর) এ বিক্ষোভে হামাসের হাতে বন্দি হওয়া অনেক ইসরাইলির স্বজনরা অংশ নিয়েছেন।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন গাজায় ইসরাইলি বন্দিদের বন্ধু এবং পরিবারের সদস্য। এ সময় তারা অবিলম্বে বন্দিদের ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
বিক্ষোভে অংশ নেয়া নাওম পেরি’র বাবাকে নির ওজ শহর থেকে অপহরণ করা হয়েছে। ইসরাইলি সংবাদপত্র হারেৎজকে নাওম পেরি বলেন,
প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা যেন বিজয়ের কথা না বলেন, গাজাকে ধুলিস্যাৎ করে দেয়ার কথাই না বলেন। তারা যেন হামাসের হাতে বন্দি লোকজনকে ঘরে ফিরিয়ে আনতে কার্যকর ব্যবস্থা নেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নজিরবিহীন হামলায় ইসরাইলি সেনা, বেসামরিক নাগরিক এবং বিদেশিসহ ২৪০ জনেরও বেশি মানুষকে বন্দি করা হয়। এ হামলায় প্রায় ১ হাজার ৪০০ ইসরাইলি নিহত হয়, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। এরপর থেকে ইসরাইল ফিলিস্তিনে বিরামহীনভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে আরব ও ইহুদিসহ কয়েকশ ইসরাইলি বামপন্থি তেল আবিবের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি পৃথক বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভের বিরুদ্ধে চলমান দমন-পীড়নের সত্ত্বেও তারা যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।
তবে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গত ৯ নভেম্বর মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের পর গাজায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার কোনো পরিকল্পনা ইসরাইলের নেই। এ সময় হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিকে তিনি আত্মসমর্পণ বলেও মন্তব্য করেন।
নেতানিয়াহু বলেন, আমি মনে করি ইসরাইলি সেনাবাহিনী অসাধারণ ভালো পারফর্ম করছে, যত সময়ই লাগে, আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করব।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের পাল্টা হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় সাড়ে চার হাজারেরও বেশি শিশুসহ ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩:৫৭:৪২ ৫৮ বার পঠিত