পোশাকশ্রমিকদের ১২ হাজার ৫০০ টাকা বেতন দেওয়ার সক্ষমতা অনেক কারখানা মালিকের নেই। তাদের বেতন একবারে ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি- এটা নজির স্থাপন করেছে। শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সাধারণ শ্রমিকরা এটা মেনেও নিয়েছেন। তবে কিছু নামধারী নেতারা এটা প্রত্যাখ্যান করেন।
বুধবার (৮ নভেম্বর) এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও নিম্নতম মজুরি বোর্ডের মালিকপক্ষের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান।
আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ‘ডেনিম এক্সপোর ১৫তম আসরে’র উদ্বোধন হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, সিনিয়র সহ-সভাপতি এসএম মান্নান কচিসহ এ খাত সংশ্লিষ্টরা।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নূন্যতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা মেনে নিয়েছেন পোশাকশ্রমিকরা। এ নিয়ে তাদের প্রশ্ন নেই। আমরা তাদের জন্য আরও কাজ করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন। এতেও তাদের কিছুটা হেল্প হবে।
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ন্যূনতম মজুরি পোশাকশ্রমিকরা মেনে নিয়েছেন। তবে শ্রমিক নামধারী নেতারা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা এটাকে কম বলছেন। অথচ অনেক ছোট ছোট কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। একবারে সাড়ে চার হাজার টাকা বেতন বৃদ্ধি হয়েছে। অনেক কারখানার নির্ধারণ করা ন্যূনতম মজুরি দেওয়ার সক্ষমতা নেই। আবার অনেক মালিকদের জন্য এটা কঠিন।
শ্রমিক আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের সুশৃঙ্খল কর্মী বাহিনী আছে। তারা হলেন আমাদের শ্রমিক ভাই-বোনেরা। ঝুঁকি জেনেও তারা করোনায় কাজ করেছেন। উৎপাদন বাড়াতে ভূমিকা রেখেছেন। তারা কারখানাকে ভালোবাসেন বলেই আজ সেই দুই হাজার ডলারের রপ্তানি আয় থেকে এখন ৪৭ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আসে এ খাত থেকে। রপ্তানির ৮৪ ভাগ নেতৃত্ব দেয় পোশাকখাত। তাদের যা বলা হয় তা করে।
তবে কিছু অসাধু লোক এ সেক্টরে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে উল্লেখ করেন সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, এমন হলে বায়াররা মুখ ফিরিয়ে নেবেন, অন্য দেশে চলে যাবেন। বায়াররা শ্রীলঙ্কা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। শ্রমিক ভাইদের বলবো, আপনারা নিজ নিজ কারখানা রক্ষার দায়িত্ব নিন। আপনাদের দায়িত্ব নিতে হবে। এটা জাতীয় সম্পদ, এটা রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সবার।
ডেনিম এক্সপোর এবারের আসরে বাংলাদেশসহ চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইতালি, স্পেন, জার্মানি, ভিয়েতনাম, জাপান, ভারত, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ডসহ ১২টি দেশের ৮০টির বেশি কোম্পানি অংশ নিয়েছে। অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত ও উৎপাদিত বস্ত্র, পোশাক, সুতা, যন্ত্র, ফিনিশিং সরঞ্জাম ও উপকরণ প্রদর্শন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪৮:৫৬ ৭৮ বার পঠিত