আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আগুন নিয়ে খেলবেন না। যে হাতে আগুন নিয়ে খেলবেন, সেই হাত পুড়িয়ে দেব।
তিনি বলেন, ‘এত লাফালাফি কেন? লম্ফঝম্ফ করে কোন লাভ নেই। যে হাতে আগুন নিয়েছেন, ওই হাত পুড়িয়ে দেব। যে হাত ভাঙ্গচুর করবে ওই হাত ভেঙ্গে দেব। আগুন হাতে আসবেন না, ওই হাত গুড়িয়ে দেব।’
ওবায়দুল কাদের আজ বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা কাউকে আক্রমন করবো না, কিন্তু আক্রান্ত হলে কাউকে ছাড়বো না। নির্বাচনে আসবেন কি আসবেন না, সেটা আপনাদের ব্যাপার। কিন্তু নির্বাচন হতে দেবেন না, এত শক্তি কোথায় পেলেন?।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশে নালিশ করতে নয়, দেশের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ করতে যান। বিদেশ সফর শেষে তিনি খালি হাতে ফেরেন না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ভাবন ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’ মডেল জাতিসংঘে স্বীকৃতি পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রান্তিক মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর উদ্যোগ নেন। কিন্তু বিএনপি তা বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু জাতিসংঘ আজ তার স্বীকৃতি দিয়েছে। বিদেশ সফর থেকে শেখ হাসিনা খালি হাতে আসেননি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের একটি মহল শত্রুতাবসে শেখ হাসিনার ভালো কাজের নিন্দা করে, আর ভালো কাজের বিরোধিতা ও সমালোচনা করে। একটা ধন্যবাদ জানানোর মতো মন এদের নেই। বিএনপি নেতাদের মন ছোট। বাংলাদেশের বড় অর্জনের প্রশংসা করতে এরা জানে না। এরা ছোট মনের মানুষ। বাংলাদেশে গত ৪৮ বছরের সবচেয়ে জনপ্রিয় নাম শেখ হাসিনা।
সভাপতির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসেছিলেন বলেই আমরা গণতন্ত্র পেয়েছি, ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছি। তাঁর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশ এগিয়ে যাবে। আজকের দিনে শপথ নিতে হবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখার।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে কেবল বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেননি। এই দেশকে তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করেছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, মতলববাজরা আবার নতুন মতলববাজি শুরু করেছে। তাদের চিহ্নিত করতে হবে। ড. ইউনূস নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। দুর্নীতিবাজ ড. ইউনূস দেশকে বিরাজনীতিকরণ করতে চেয়েছিল। ড. ইউনূসসহ সা¤্রাজ্যবাদী শক্তিকে ঠেকাতে হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে পদার্পণের পর দেশে গণতন্ত্রের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাই ’৮১ সালের ১৭ মে শুধু ব্যক্তি শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নয়, গণতন্ত্রের অগ্নিবীণার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ফিরে আসার পর তার হাত ধরে গত ৪২ বছরে বাঙালির জীবনে, বাংলাদেশের মানুষের জীবনে, বাংলাদেশের ললাটে অনেক নতুন তিলক উঠেছে, বাংলাদেশ অনেক অর্জন করেছে।’
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, শেখ হাসিনাকে সরিয়ে দিতে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। পশ্চিমা বিশ্ব নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যতদিন জনগণ পক্ষে আছে ততদিন কোনো অপশক্তি আওয়ামী লীগের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫১:৩২ ৭০ বার পঠিত