অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রতারণার নতুন ফাঁদ, ‘গোল্ডেন রিচের’ ৩ সদস্য গ্রেফতার

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারি » অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রতারণার নতুন ফাঁদ, ‘গোল্ডেন রিচের’ ৩ সদস্য গ্রেফতার
রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩



অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রতারণার নতুন ফাঁদ, ‘গোল্ডেন রিচের’ ৩ সদস্য গ্রেফতার

রিসোর্ট ব্যবসায় বিনিয়োগের নামে প্রতারণার নতুন ফাঁদ পেতেছে ‘গোল্ডেন রিচ’ নামের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। মাত্র ৯০ দিনে বিনিয়োগ তিনগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাজার হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে অ্যাপসভিত্তিক এমএলএমটি হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। আর এই টাকা পাচার করা হয়েছে অন্য দেশে।

মাত্র ৯০ দিন অর্থাৎ তিন মাসে বিনিয়োগ হবে তিনগুণ! এমন লোভনীয় অফারে কক্সবাজারের রিসোর্টে বিনিয়োগ করেছিলেন প্রকৌশলী অমি। তিনগুণ হয়নি বিনিয়োগ, উল্টো চালানটাও গেছে।

এই ধরনের সাইটে বিনিয়োগ করার আগে চিন্তা করা দরকার। কিন্তু আমার চিন্তাভাবনায় হয়তো কোথাও ঘাটতি ছিল। তাই প্রতারণার শিকার হয়েছি।

শুধু অমি নয়, তার মতো ভুক্তভোগীর সংখ্যা প্রায় তিন হাজার, যারা বিনিয়োগ তিনগুণ হওয়ার ফাঁদে পা দিয়ে লাখ লাখ টাকা খুইয়েছেন। আর যারা এই স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সেই গোল্ডেন রিচের দেশীয় তিন সদস্যকে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।

তাদের মধ্যে তরিকুল ইসলাম গোল্ডেন রিচ অ্যাপের কান্ট্রি ম্যানেজার। তাজিরুল ইসলাম ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর এবং রিয়াজুল ইসলাম এজেন্ট। আর এই অ্যাপসটির মাস্টারমাইন্ড মিঠুন রায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ভারতীয় নাগরিক।

আপসভিত্তিক এমএলএমটি ৬ ধাপে প্রতারণা করে। প্রথমে গোল্ডেন রিচ নামক অ্যাপস ডাউনলোড করতে হয়। নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পরিশোধ করে কিনতে হয় রোবট। লভ্যাংশ দেয়ার কথা থাকলেও কোনো প্রকার লভ্যাংশ দেয়া হয় না। এজেন্ট জানান, বিনিয়োগের টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ট্রেডিং করা হয়েছে। একপর্যায়ে বিনিয়োগের টাকা আরও ওই অ্যাপসের ব্যালেন্সে দেখায় না। বিনিয়োগের টাকা ফেরত চাইলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। পুলিশ বলছে, কথিত এই অ্যাপে বিনিয়োগের সব টাকা চলে গেছে ভারতে থাকা মিঠুন রায়ের কাছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন,

ক্লায়েন্টকে বলা হয়, একটা রোবট কিনতে ১ হাজার টাকা লাগবে। তিন মাস পর এর লভ্যাংশ তিনগুণ হবে। অর্থাৎ, তিন হাজার টাকা হবে। রোবট কেনার সঙ্গে সঙ্গে কাস্টমার পেয়ে যান ২০০ টাকা। আর এজেন্ট পান ১০ টাকা। কান্ট্রি ম্যানেজার পান ২০ টাকা। এই টাকাগুলো ভাগ করে নেয়ার পর বাকি টাকাটা তারা পাঠিয়ে দেন মিঠুন কুমার রায়ের কাছে।

হারুন অর রশীদ বলেন, মিঠুন কুমার রায়ের বাংলাদেশের নথিপত্রে দেখা যায়, তার বাবার নাম বৈদ্যনাথ রায়। আর ভারতের এনআইডিতে তার বাবার নাম নিমাই রায়। শুরুতেই সে প্রতারণা করে আসছিল। তার উদ্দেশ্যই ছিল, এ দেশের কিছু লোককে বোকা বানিয়ে টাকাগুলো ভারতে পাচার করা।

তাই এ ধরনের অ্যাপে বিনিয়োগ না করার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার।

বাংলাদেশ সময়: ১৩:৫৩:০০   ৪৩ বার পঠিত  




ছবি গ্যালারি’র আরও খবর


আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন ৭ জানুয়ারি
বার্সেলোনা শিবিরে আবারও চোটের ধাক্কা
ভারোত্তোলনে ৯০ বছর বয়সি নারীর চমক



আর্কাইভ