ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান বিলম্বিত করতে ইসরাইলের ওপর চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশ। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেয়ার পর এই চাপ আরও বেড়েছে।
শনিবার (২১ অক্টোবর ইসরাইল সরকারের একজন শীর্ষ কূটনীতিকের বরাতে টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই শীর্ষ কূটনীতিক জানিয়েছেন, পশ্চিমা বিশ্বের আশঙ্কা দুই মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেয়ার ফলে অন্যান্য পশ্চিমা জিম্মিদের মুক্তি পাওয়ার বিষয়ে যে আশাবাদ তৈরি হয়েছে ইসরাইল স্থল অভিযান শুরু করলে সেই মুক্তির সব প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ ইসরাইলকে স্থল অভিযান চালানো থেকে আপাতত বিরত থাকার জন্য চাপ দিচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমা বিশ্বের যে সরকারগুলো স্থল অভিযান বিলম্বিত করতে চাপ দিচ্ছে, তাদের প্রত্যেক দেশেরই নাগরিক জিম্মি রয়েছে হামাসের কাছে। সরকারগুলোর বিশ্বাস, জিম্মি মুক্তির প্রক্রিয়া যত বিলম্বিত হবে তাদের মুক্তির বিষয়টি তত জটিল হতে থাকবে
ওই কূটনীতিক জানান, ইসরাইল স্থল অভিযান একেবারেই বন্ধ করে দিক এমনটা চায় না পশ্চিমা বিশ্বও। তবে জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য আপাতত তা স্থগিত রেখে কূটনৈতিক পদ্ধতি অনুসরণ করে ফল পাওয়া যায় কিনা সে বিষয়টি বিবেচনা করতে বলেছে।
পবিত্র আল-আকসা মসজিদে অব্যাহত হামলা এবং ফিলিস্তিনে অবৈধ বসতি স্থাপনের জবাবে গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরাইলের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তাদের হামলায় প্রায় ১ হাজার ৪০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। পাশপাশি শতাধিক মানুষকে জিম্মি করে হামাস। যাদের মধ্যে ইসরাইলি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপোর বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন।
এদিকে গাজায় জিম্মি অবস্থায় থাকা মার্কিন দুই নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এরা হলেন জুডিথ রানান (৫৯) এবং তার মেয়ে নাতালি রানান (১৮)।
মা ও মেয়ে বেড়াতে গিয়ে যুদ্ধ অবস্থায় পড়েন ও জিম্মি দশার শিকার হন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
আল জাজিরা বলছে, মুক্তির পর দুই মার্কিন নাগরিকের সঙ্গে কথা বলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। হোয়াইট হাউস জানায়, প্রেসিডেন্ট বাইডেন দুই নাগরিককে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৩৩:৫৮ ৩৯ বার পঠিত