ইসরায়েলে প্রায় ২ হাজার সৈন্য মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (১৬ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম মিত্র ইসরায়েলে সম্ভাব্য মোতায়েন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রায় দুই হাজার সেনা সদস্যের তালিকা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মোতায়েন করা সৈন্যদের যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াইয়ে ব্যবহার করা হবে না। তবে মার্কিন সৈন্যরা ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে যুদ্ধের বিষয়ে পরামর্শ ও মেডিক্যাল সহায়তা দেবে।
যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন বারবার বলেছে, ইসরায়েল-হামাসের চলমান যুদ্ধে মার্কিন সৈন্যদের যুদ্ধক্ষেত্রে মোতায়েনের কোনও পরিকল্পনা নেই।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েলের সমর্থনে সম্ভাব্য মোতায়েনের প্রস্তুতি হিসেবে মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রায় দুই হাজার সৈন্য নির্বাচন করেছে। সৈন্যদের পরামর্শ এবং চিকিৎসা সহায়তার মতো মিশনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো পদাতিক বাহিনীকে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়নি।
দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, সৈন্যরা বর্তমানে ইউরোপসহ মধ্যপ্রাচ্য এবং এর বাইরে অবস্থান করছেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আরও বলছে, যুক্তরাষ্ট্র কোন পরিস্থিতিতে বা কোথায় সেনা মোতায়েন করতে পারে তা স্পষ্ট নয়। তবে ইসরায়েল গাজায় স্থল হামলা শুরু করলে ইসরায়েলি সেনাদের প্রতি পেন্টাগনের সহায়তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক অ্যান্টনি ব্লিনকেন গত চার দিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন।
এ সব দেশ গুলোর মধ্যে রয়েছে আরব বিশ্বের ছয় দেশ জর্ডান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব এবং মিসর। সফর শেষে সোমবার ইসরায়েলে ফিরে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
তার এই সফরের উদ্দেশ্য গাজার বেসামরিক নাগরিকদের কীভাবে সর্বোত্তম মানবিক সহায়তার পাশাপাশি কিভাবে বিদেশি নাগরিকদের চলে যেতে দেওয়া যায়। সেই বিষয়ে আরব বিশ্বের চিন্তা-ভাবনা শোনা, জানা এবং আলোচনা করা।
এছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের বার্তাটি হল, হামাসের প্রতি ইরানের সমর্থনে বাধা দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন এই গোষ্ঠীকে দীর্ঘদিন ধরে ইরান অর্থ এবং অস্ত্র সহায়তা দিয়ে আসছে। যুক্তরাষ্ট্র্র ইরানের এই সহায়তা ঠেকাতে চায়। ইরানের আঞ্চলিক মিত্র হিজবুল্লাহকে লেবানন থেকে ইসরায়েলের উত্তর দিকে আক্রমণ করা থেকে বিরত রাখতে চায়। যা পূর্ব ভূমধ্যসাগরে মার্কিন বিমানবাহী দুটি রণতরীর উপস্থিতিতে স্পষ্ট হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:১২:১০ ৬৭ বার পঠিত