পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মেয়র আরিফ হচ্ছেন আওয়ামী বিএনপি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাংলাদেশের উন্নয়ন। আর এই উন্নয়নের মহাসড়কে আমাদের বিএনপির মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী অত্যন্ত শক্তিশালী সহযোগী। এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোভিডের সময় বড় বড় মিডিয়া ঘোষণা দিল দেশের ১০ কোটি লোক মারা যাবে। স্বাভাবিকভাবে বড়লোকের দেশের বড় বড় পত্রিকার ঘোষণায় ভয় পেয়ে গেলাম। স্বাভাবিকভাবে আমরা আগে ভ্যাকসিনের টাকা দিয়ে দিলাম। সারা দেশে তখন একটি টেস্টিং সেন্টার, তখন মা ও শিশু হাসপাতালে আমরা টেস্টিং সেন্টার করলাম। এটা ছিল গ্রেট চ্যালেঞ্জ। বড় বড় পন্ডিতরা বলেছিলেন ১০ কোটি মারা যাবেন। আল্লাহর রহমতে আমাদের ২৮ হাজার লোক মারা যায়। তখন আমাদের জিডিপিও ভালো ছিল বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তখন মেয়রের দারুণ সমন্বয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
সিলেটের উন্নয়নের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নেওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, কুমারগাঁও-বাধাঘাট সড়ক মাত্র ১৪ কিলোমিটার করতে ১৪ বছর লেগেছে কেন? এক সময় সিলেটে শিক্ষিতের হার বেশি ছিল, এখন সবচেয়ে কম। এখন মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু, সব সূচকে পিছিয়ে সিলেট। তাই যে কোনো ইস্যু দেখলে সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানাই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সৌভাগ্যবান শেখ হাসিনার মতো নেতা পেয়েছি। তিনি কেবল দেশের মানুষের মঙ্গল চান, উন্নয়ন চান।
টানা দুই মেয়াদে নগরের উন্নয়ন ও নাগরিক সেবা দানের সকল ব্যর্থতার দায় নিজের কাঁধে নিয়ে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নাগরিক সংবর্ধনায় বলেন, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সম্পীতির ঐতিহ্যকে ধারণ করে নির্মোহভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছি। গত ১০ বছরে সিলেটকে একটি জনবান্ধব নগর প্রতিষ্ঠায় যেটুকু অর্জন হয়েছে আমি নগরবাসীকে উৎসর্গ করছি।
তিনি বলেন, মেয়র না থাকলেও সিলেটের উন্নয়নে সব সময় সক্রিয় থাকব। নগরের চলমান উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী পরিষদকেও সহযোগিতা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আরিফুল হক চৌধুরী।
নাগরিক সংবর্ধনা কমিটির আহবায়ক কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত সনতুর সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য দেন সিসিকের প্যানেল মেয়র-১ কাউন্সিলর মোহাম্মদ তৌফিক বকস।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সদর উদ্দিন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হক, বিশিষ্ট রাজনীতিক বেদানন্দ ভট্টাচার্য্য, মদন মোহন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আতাউর রহমান পীর, সিলেট ডায়াবেটিস সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট রাজনীতিক লোকমান আহমদ, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি অশোক পুরকায়স্থ, রামকৃষ্ণ মিশন সিলেটের অধ্যক্ষ স্বামী চন্দ্রনাথানন্দ মহারাজ, সিলেট প্রেস বিটারিয়ান চার্চের ফাদার ডিকন নিঝুম সাংমা, প্রাইভেট হাসপাতাল-ক্লিনিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. নাসিম আহমদ, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু।
নাগরিক সংবর্ধনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সিসিক কাউন্সিলর মো. আজাদুর রহমান আজাদ ও কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে দেওয়া মানপত্র পাঠ করেন জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৪৩:২২ ৬৮ বার পঠিত