নারী অভিবাসীদের সুরক্ষায় আইন আছে, কিন্তু বাস্তবে তার প্রয়োগ হচ্ছে না। নিয়মিত তদারকির অভাবেই অভিবাসী রেমিট্যান্স-যোদ্ধা নারীরা বিভিন্ন দেশে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘নারী অভিবাসী সুরক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এমন মন্তব্য করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নূরুন নাহার হেনা।
সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নারী শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম ও জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বলেন, অভিবাসী নারীরা তাদের বৈদেশিক আয়ের পুরোটাই দেশে পাঠিয়ে দেন। এ বিষয়ে নিয়মিত রেকর্ড রাখা প্রয়োজন। বিদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সপ্তাহে অন্তত এক দিন অভিবাসী নারী শ্রমিকদের খোঁজখবর নিতে হবে। বিদেশে আমাদের প্রবাসী নারীরা নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হন। কিন্তু তাদের সে চিত্র গণমাধ্যমে উঠে আসে না। তাই অভিবাসী নারীদের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকাও অপরিসীম।
সেমিনারে প্রধান আলোচক সুমাইয়া ইসলাম বলেন, অভিবাসী নারী শ্রমিকদের মর্যাদা নিশ্চিত ও কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি হ্রাস করতে সরকারকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। পাশাপাশি বিদেশি দূতাবাস, রিক্রুটিং এজেন্সিকে নারী অভিবাসী শ্রমিকদের ব্যাপারে অধিকতর মানবিক হতে হবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী বলেন, অভিবাসী নারীদের সুরক্ষিত করতে অভিবাসন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব পক্ষকে সচেতন করতে গণমাধ্যমকর্মীরা শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারেন।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ প্রকৌশল) মো. নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক এ কে এম আজিজুল হক, পরিচালক ড. মো. মারুফ নাওয়াজ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৪:০২ ৫০ বার পঠিত