যাত্রীদের সাহায্য করার আড়ালে সোনা চোরাচালানের সময় মিট অ্যান্ড গ্রিট সেবা প্রদানকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শুভেচ্ছার এক কর্মীকে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। ব্যাটালিয়ন সূত্র জানিয়েছে, পাওয়ার ব্যাংকে লুকিয়ে সোনার বার পাচারের চেষ্টা করছিলেন শুভেচ্ছার কর্মী মো. রাজু। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকালে তাকে ১১ পিস সোনার বারসহ হাতেনাতে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
জব্দ করা ১১টি সোনার বারের মোট ওজন ১২শ ৭৬ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ২২ লাখ টাকা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, শুভেচ্ছার সিনিয়র কাস্টমার রিপ্রেজেনটেটিভ মো. রাজুর অযাচিত মুভমেন্ট এবং প্রশ্নবিদ্ধ আচরণে সন্দেহ হয় বিমানবন্দর আমর্ড পুলিশের গোয়েন্দা দলের। রাজুকে ১ নম্বর লাগেজ বেল্টের কাছে টয়লেটে প্রবেশ করতে দেখা যায়। একইসঙ্গে সেখানে যাত্রীদের সঙ্গে কোনো কিছু বিনিময় করেন বলেও সন্দেহ করা হয়। পরে অ্যারাইভাল কনকোর্স হলের প্রক্ষালন কক্ষের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তাকে আর্মড পুলিশের অফিসে এনে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করা হয়। তল্লাশি শেষে কালো রঙের পাওয়ার ব্যাংকের ভেতরে ১০টি এবং রাজুর পকেটে একটি সোনার বার পাওয়া যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে রাজু জানান, দুবাই থেকে আসা যাত্রীর কাছ থেকে এসব সোনা বার নিয়েছেন তিনি। এর বিনিময়ে তাকে খুশি করে দেওয়া হবে বলে জানায় পাচারকারীরা। মোবাইলে সোনা পাচারকারী চক্রের সদস্যরা প্রথমে রাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করে, কাজ শেষে তাকে পাওনা বুঝিয়ে খুশি করে দেওয়া হবে বলে কথা দেয় তারা।
শুভেচ্ছা কর্মী রাজু লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার মজিবুর রহমানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫৬:২৫ ৪০ বার পঠিত