নেতাকর্মীদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, সকলকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করতে হবে। যেকোনো কিছুর বিনিময়ে হলেও সংবিধান অনুযায়ী আগামী সংসদ নির্বাচনকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চাইবে, তাদেরকে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে আমিন বাজারে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পক্ষে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে এর মাধ্যমে বোঝা যায় বাংলার মানুষ উন্নয়ন-অগ্রগতি চায়। বাংলার মানুষ শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়।’
বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সারা দেশে রক্তপাত ঘটিয়েছে।
ওরা ক্ষমতায় থাকাকালীন মায়ের সামনে বোনকে ধর্ষণ করেছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের হাত-পা কেটে চোখ উপড়ে ফেলে দিয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছে। সেই বিএনপি-জামায়াত আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের উন্নয়ন মেনে নিতে পারছে না।
দেশের শান্তি সমৃদ্ধিকে মেনে নিতে পারে না।’
বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল বড় বড় কথা বলেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পেছনের মূল কারিগর আপনার দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। সেই খুনি জিয়াউর রহমানই মেজর ডালিম, রশিদ, শাহরিয়াসহ বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দিয়ে বিদেশি দূতাবাসে গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি দিয়েছে। তারই বধূ বেগম খালেদা জিয়া ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে ওই খুনিদের দিয়ে নির্বাচন করে মহান সংসদকে অবমাননা করেছে।
’
‘খালেদা জিয়ার কুলাঙ্গার সন্তান তারেক রহমান একুশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে’ উল্লেখ করে নানক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা সরকার থেকে ধানমণ্ডিতে ছোট একটি বাড়ি পেয়েছিলেন; কিন্তু খালেদা জিয়া সেই বাড়িটি কেড়ে নিয়ে থানা স্থাপন করলেন। তার পরও খালেদা জিয়ার ছেলে কোকো মারা যাওয়ার পর মহান নেত্রী ছুটে গিয়েছিলেন খালেদাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা গেট আটকে দিয়েছে। এই হচ্ছে বিএনপির চিরচেনা রূপ।’
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৩৪:১৫ ৭৪ বার পঠিত