লন্ডনে একটি উচ্চ-পর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় বক্তারা মেরিন একাডেমিতে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করা সহ মেরিটাইম শিল্পে নারীদের উৎসাহিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে গত বুধবার ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও)-তে ‘এমপাওয়ারিং উইমেন ইন মেরিটাইম অ্যান্ড ওশান ডিপ্লোম্যাসি’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আইএমও-তে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং উইমেন ইন ডিপ্লোম্যাসি নেটওয়ার্ক (ডব্লিউডিএন), লন্ডনের সভাপতির দায়িত্বে নিয়োজিত যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, আইএমও-তে নিয়োজিত স্থায়ী প্রতিনিধি, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞ সহ ১০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি অংশ নেন।
বৈশ্বিক সামুদ্রিক শিল্পে নারীদের কম উপস্থিতির কথা তুলে ধরে হাইকমিশনার বলেন, বিশ্বব্যাপী ১.২ মিলিয়ন সনদপ্রাপ্ত নাবিকের মধ্যে নারী মাত্র ১.২৮ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করে। অন্যদিকে, ক্রুজ শিল্পের শ্রমশক্তির মাত্র ২% নারী।
তাসনিম বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে, নেভিগেশন অফিসার, মেরিন ইঞ্জিনিয়ার এবং এমনকি ক্যাপ্টেনের মতো সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট পদ সহ বিভিন্ন পদে শতাধিক মহিলা নাবিক নিয়োগ করা হচ্ছে”।
তিনি আরো বলেন, এই রূপান্তরমূলক প্রচেষ্টা ঐতিহ্যগতভাবে পুরুষ-প্রধান সামুদ্রিক শিল্পে বৈচিত্র্য আনয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
তিনি নারী পুরুষের সমতা বাড়াতে ও সামুদ্রিক সেক্টরে মহিলাদের কণ্ঠ জোরদার করতে বিআইএমসিও সহ আইএমও সচিবালয়, আইএমও-এর সহযোগী সদস্য, উইমেনস ইন্টারন্যাশনাল শিপিং অ্যান্ড ট্রেডিং অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউআইএসটিএ ইন্টারন্যাশনাল), উইমেন ইন মেরিটাইম অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউআইএমএএস) এবং নেতৃস্থানীয় শিপিং শিল্প সমিতিগুলির সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করার জন্য ডাব্লিউডিএন এর দঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী নারী নাবিকসহ নাবিকদের অবদানের ওপর বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন কর্তৃক তৈরি একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয় যা অংশগ্রহণকারীদের বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করে ও প্রশংসিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৩৯:০৮ ৪৫ বার পঠিত